এবার নজিরবিহীন বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়ছে দেশের ১২ জেলার মানুষ। কোথাও বুকপানি, কোথাও গলা অবধি। মাঠ-ঘাট তো ডুবেছেই তলিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কও। ৩৬ বছরের মধ্যে এমন বন্যা দেখেননি স্থানীয়রা। এদিকে, বন্যার পানিতে পারিবারিক কবরস্থান ডুবে যাওয়ায় নিহত এক যুবকের লাশ দাফন করতে পারেননি স্বজনরা। পরে দেড় কিলোমিটার দূরের অন্য আরেক কবরস্থানে দাফন করা হয় ওই যুবকের লাশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে দিকে নোয়াখালীল কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরজু (৪০) ওই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আরজু আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। বুধবার বিকেলে সে মারা গেলে বন্যার পানির জন্য তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা সম্ভব হয়নি। পরে একই ওয়ার্ডের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে চৌধুরী বাড়ির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার অনেক স্থানে হাঁটু ও কোমর পরিমাণ উঠে গেছে।। যার ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মাঝে কয়েকদিন বৃষ্টি থামলে কিছুটা পানি সরলেও গত এক সপ্তাহ পুনরায় টানা বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। এতে করে গত ২০ দিনের বেশি সময় ধরেই জলাবদ্ধা দেখা দিয়েছে নোয়াখালীর অন্তত ৭টি উপজেলায়।